কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমার সাথে বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। তিস্তা, ধরলা, ব্রহ্মপূত্র ও দুধকুমরসহ ১৬টি নদনদীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়েছে ভাঙনের তীব্রতা। এ অবস্থায় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে শত-শত পরিবারের ঘরবাড়ি, ফসলী জমি, মসজিদ, মন্দিরসহ বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। ভাঙন রোধে দ্রুত স্থায়ী বেরি বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন নদী তীরবর্তি মানুষ।
দেশের উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম জেলায় দীর্ঘস্থায়ী বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতে নদ-নদীগুলোতে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এ জেলার ৩১৫ কিলোমিটার ব্যাপী নদী তীরের বেশিরভাগ অরক্ষিত স্থানে চলছে এই ভাঙনের তীব্রতা।
ভুরুঙ্গামারী উপজেলার সদর ইউনিয়ন, নলেয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় দুধকুমর নদীর ভাঙনে ভিটে-মাটি, ফসলী জমি হারিয়ে নিংস্ব হয়েছে নদী তীরবর্তি হাজার হাজার মানুষ ।নদীগর্ভে বসত-বাড়ি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছেন অনেকে ।
সংশ্লিস্টরা বলেছেন, দুধকুমর নদের ভাঙন রোধে একটি প্রকল্প পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে । প্রকল্প অনুমোদন হলেই এ নদের ৫টি স্থানে প্রায় ২৪ কিলোমিটার নদী সংরক্ষণ বাধের কাজ শুরু করা হবে ।
শুধু আশ্বাস নয়, নদী ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগ নদী খনন, স্থায়ী ব্যবস্থাপনার কথা বললেও এর বাস্তব প্রতিফলন চান কুড়িগ্রামের মানুষ ।